পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দমকলমন্ত্রীর জামাইকে জিজ্ঞাসাবাদ ED-র
পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর জামাইকে জিজ্ঞাসাবাদ ED-র। ED-র দফতরে এলেন দমকলমন্ত্রীর জামাই রাহুল সিংহ। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক লেনদেন খতিয়ে দেখতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁকে। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়েও দমকলমন্ত্রীর জামাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে খবর ED সূত্রে।
নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় কয়েকদিন আগেই জামিনে মুক্তি পেয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এরই মধ্যে পুর-নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তে নড়চড়ে বসেছে ED। পুরসভায় নিয়োগ-দুর্নীতির মামলার তদন্তকারীদের স্ক্যানারে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর পরিবার। শুক্রবার দমকলমন্ত্রীর মেয়ের শ্বশুরকে ডেকে পাঠনো হয়েছিল সিজিও কমপ্লেক্সে। সেই সঙ্গে তলব করা হয় গোলাঘাটার 'বেঙ্গল ধাবা' ও সুজিত বসুর ছেলের রেস্তোরাঁর কর্মীদের। সূত্রের দাবি, বেঙ্গল ধাবা থেকে গত ১০ অক্টোবর নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল। তার উৎস জানতে চান ED আধিকারিকরা। তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, রেস্তোরাঁয় ভুয়ো বিক্রি দেখিয়ে আর্থিক তছরুপ হয়েছে কি না।
পুর-নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তে গত ১০ অক্টোবর ৮ জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালায় ED। লেকটাউনে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর রেস্তোরাঁ, তাঁর সল্টলেকের অফিস, গোলাঘাটায় দমকলমন্ত্রীর ছেলে সমুদ্র বসুর রেস্তোরাঁ, লাউঞ্জ-বার, তৃণমূল পরিচালিত দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্য়ান নিতাই দত্তর ফ্ল্যাট ও গোডাউন, নাগেরবাজারে এক প্রোমোটার ও একজন চার্টার্ড অ্য়াকাউন্ট্য়ান্টের বাড়ি এবং কাঁকুড়গাছিতে এক অডিটরের বাড়িতে অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এরপর তারাতলা ও লেকটাউনে ব্যবসায়ী বিবেক ঢনঢনিয়ার বাড়ি ও অফিসেও তল্লাশি চলে। ED সূত্রে দাবি, তারাতলার অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রায় ৩ কোটি টাকা। এই সংস্থার সঙ্গে মন্ত্রী-পুত্র কিংবা কন্য়ার কোনও লেনদেন হয়েছিল কি ? সূত্রের খবর, তা জানতেই সিজিও কমপ্লেক্সে সুজিত বসুর স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
এর আগে তল্লাশি অভিযান নিয়ে সুজিত বসু বলেছিলেন,, "ওরা প্রত্যেকবারই এটা করে। ইলেকশন যখন আসে, তখন বিশেষ করে, যারা পার্টিতে অ্যাকটিভলি কাজ করে, তাঁদের বাড়ি-অফিস এসব জায়গায় যায়। আজকে আমার অফিসে গিয়েছে। রেস্তোরাঁয় গিয়েছে। তা গেছে ওরা, ওদের কাজ করছে, করুক। কী বলা যাবে আর ওদেকে !"
তার আগে ২০২৪-এ দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল ED। প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে মন্ত্রীর একাধিক বাড়িতে চলে তল্লাশি । মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য়দেরও করা হয় জিজ্ঞাসাবাদ ।