‘প্রশ্নই ওঠে না’! ট্রাম্পকে ফোনের সম্ভাবনা ওড়ালেন ব্রাজ়িলের প্রেসিডেন্ট লুলা, বললেন, ‘শি-মোদীদের সঙ্গে কথা বলব’
শুল্ক নিয়ে আলোচনা করতে কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করবেন? ব্রাজ়িলের প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিয়ো লুলা দ্য সিলভা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কখনওই না! ব্রাজ়িল থেকে আমেরিকায় রফতানি হওয়া পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা ট্রাম্প ঘোষণা করার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপড়েন চলছে। সেই আবহে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, লুলার থেকে ফোন পাবেন। কিন্তু সেই দাবি নস্যাৎ করে দিলেন ব্রাজ়িল প্রেসিডেন্ট নিজেই।
লুলাকে ট্রাম্পের দাবি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে বলেন, ‘‘আমি কখনওই ট্রাম্পকে ফোন করব না। কারণ, তিনি আলোচনা চান না।’’ ব্রাজ়িলের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের দিনটিকে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘সবচেয়ে দুঃখজনক দিন’ বলে উল্লেখ করেছেন লুলা। এখানেই থামেননি তিনি। শুল্ক আরোপ নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে না চাইলেও, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সঙ্গে ফোনে কথা বলার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন ব্রাজ়িলের প্রেসিডেন্ট। তাঁর কথায়, ‘‘আমি শি জিনপিং-কে ফোন করব। ফোন করব প্রধানমন্ত্রী মোদীকেও। অনেক বিশ্বনেতাকে ফোন করব।’’
উল্লেখ্য, ভারত, চিন, ব্রাজ়িল ব্রিক্সের সদস্য। সম্প্রতি ব্রিক্স সম্মেলনে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা এবং ইরানে হামলার বিরুদ্ধে সম্মিলিত বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। যদিও সরাসরি আমেরিকা বা ইজ়রায়েলের নাম করা হয়নি। তবে বার্তা ছিল স্পষ্ট। তার পরেই ট্রাম্প ব্রিক্স-এ যুক্ত দেশগুলিকে শুল্ক-হুঁশিয়ারি দেন। তিনি জানান, ব্রিক্স-এর আমেরিকাবিরোধী নীতির সঙ্গে যে সব দেশ যুক্ত থাকবে, তাদের বাড়তি আরও ১০ শতাংশ কর দিতে হবে মার্কিন পণ্যে।সপ্তাহ খানেক আগে ট্রাম্প ব্রাজ়িলের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা জানান। ব্যাখ্যা করেন কেন শুল্ক চাপানো হল। হোয়াইট হাউস থেকে পাঠানো শুল্ক-চিঠিতে ট্রাম্প অভিযোগ করেন যে, স্বাধীন নির্বাচনের উপর বার বার আঘাত করা হচ্ছে ব্রাজ়িলে। দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশে আমেরিকানদের বাক্স্বাধীনতার অধিকার খর্ব করা করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। তবে ব্রাজ়িলের উপর তাঁর গোসার কারণ যে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বোলসেনারোর বিরুদ্ধে চলা বিচারপ্রক্রিয়া, তা স্পষ্ট করে দেন ট্রাম্প। ব্রাজ়িলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুলাকে পাঠানো চিঠিতে তিনি লেখেন, “শ্রদ্ধেয় বোলসেনারোর সঙ্গে যে আচরণ করা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। এই বিচারপ্রক্রিয়া চলতে পারে না। এটা এখনই বন্ধ হওয়া উচিত।” পাশাপাশি অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের নেপথ্য কারণ হিসাবে ব্রাজ়িল এবং আমেরিকার ‘অন্যায্য বাণিজ্য ঘাটতি’কেও দায়ী করেছিলেন ট্রাম্প।